মাজেদুর রহমান (মাজদার),পুঠিয়া প্রতিনিধি: পুঠিয়ায় বিকাশ প্রতারকচক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ চক্র সুকৌশলে তাদের প্রতারণার ফাঁদ পেতে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এক শ্রেণীর নারী-পুরুষনসহ অসংখ্য মানুষ তাদের ফাঁদে ধরা পড়ছে। জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার (৫ অগোস্ট) বিকাশের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে শাপলা নামের এক নারী।
ওই নারীর বাড়ি চারঘাট উপজেলায়। তিনি বিভিন্ন পণ্য ফেরী করে বিক্রয় করেন। ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, গত কয়েক মাস আগে তার ছেলের উপবৃত্তির জন্য নগদের একাউন্ট খোলা হয়। সেসময় তারা তাকে একটি পিন কোড দিয়ে বলে এর মাধ্যমে আপনি টাকা উঠাতে পারবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ব্যবহৃত মোবাইলে ০১৮৩৮৯৪৩৭১০ নম্বর থেকে কল করে জানানো হয়।
তার ছেলে উপবৃত্তির টাকা তার মোবাইলে ম্যাসেজ আসছে কিন্তু আপনি ম্যাসেজটি দেখতে পাচ্ছেনা। সেসময় তিনি ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে দেখেন একটি ম্যাসেজ আসছে কিন্তু তা দেখা যাচ্ছেনা। এসময় প্রতারক চক্র সুকৌশলে তাকে মোবাইলে লেনদেন না হওয়ায় এ ম্যাসেজটি দেখা যাচ্ছেনা বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে।
পরে ভুক্তভোগী নারীকে বলা হয় আপনি একটি বিকাশ এজেন্টের দোকানে গিয়ে ১৭ হাজার ৫’শ টাকা বিকাশ করেন তবে টাকা এজেন্টের মোবাইলেই থাকবে আর আপনার মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসবে। এতে আপনার মোবাইলের উপবৃত্তির টাকা চলে আসবে। সেসময় তাকে ০১৩২১৪৬৪৮২৪ নম্বরে উক্ত টাকা বিকাশ করতে বলা হয়।
এছাড়াও বিষয়টি বিকাশ এজেন্টকে বিষয়টি না জানানোর কথা বলা হয়। তিনি তাদের প্রতারণার শিকার হয়ে উপজেলার বানেশ্বর যাত্রিছাউনি সংলগ্ন পদ্মা মোবাইল সেন্টারে বিকাশ করতে যান। সেসময় বিকাশ এজেন্টের কাছে টাকা কম থাকায় ৬ হাজার ৮’শ টাকা বিকাশ করা হয়।
সেসময় বিকাশ এজেন্ট বিকাশ করলেও টাকা আনসেন্ট দেখায়। পরে বিকাশ প্রতারণার চক্র ০১৩১৬৪১৩১৮৯ নম্বরে ১১ হাজার ৫’শ টাকা এবং ০১৭৫৮১০১৮৬৩ নম্বরে ২৪ হাজার ৫’শ টাকা বিকাশ করতে বলে। প্রথম দুইটি নম্বরে বিকাশ করার সময় টাকা আনসেন্ট দেখায় পরে তৃতীয় নম্বরে বিকাশ করার সাথে সাথে সবগুলো টাকা সেন্ট হয়ে যায়।
এসময় তাদের সবগুলো মোবাইল নম্বর বন্ধা থাকায় তাদের সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে ভুক্তভোগী ওই নারী জানান। পরে নিরুপায় হয়ে গতকাল শনিবার ভুক্তভোগী নারী শাপলা বাদি হয়ে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, বিভিন্ন ভাবে বিকাশের মাধ্যমে একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। যেহেতু মোবাইল নম্ব্র গুলো রেজিস্টেশন করা তাই তাদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।